আওয়ামী লীগ নেতা এবং টঙ্গীর আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন সৈকত (৩২) কে ছয়জন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোররাতে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন সেনকল্যাণ ও মাজার বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, শর্টগানের ৪ রাউন্ড বুলেট, হিরোইন, মোবাইল ফোন এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন শাহরিয়ার হোসেন সৈকত, শাহানুর আহমেদ অমিত (১৮), হিরা (৩২), বায়জিদ (২৭), জাহিদ (১৯) ও নূর ইসলাম (২৭)। শাহরিয়ার হোসেন সৈকত গাজীপুর মহানগর তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেও দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গী এলাকার মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে র্যাবের দাবি।
র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম জানান, সৈকত মাদক সম্রাট রবিউল ইসলাম ওরফে ‘কিং বাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি জানান, সৈকত নিয়মিতভাবে টঙ্গীর মাজার বস্তি ও আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের শোডাউন এবং মাদক বিক্রির নেতৃত্ব দিতেন। গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযান চলাকালে সৈকতের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষায় মাদক ব্যবসা, হানিট্র্যাপিং এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মাজার বস্তির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয়ভাবে তৈরি রিভলবার উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্রটি ভারতীয় প্রযুক্তিতে স্থানীয়ভাবে তৈরি।
র্যাব আরও জানায়, উদ্ধারকৃত রিভলবার মাদক সম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর নিয়ন্ত্রিত একটি স্পট থেকে পাওয়া গেছে এবং কাছাকাছি কয়েকটি স্থানে তল্লাশিতে কিছু শর্টগানের গুলি উদ্ধার হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।