অপরাধ
ত্বকী হত্যার ১ যুগ: বিচার শুরুর দাবিতে ১৫ নাগরিকের বিবৃতি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার এক যুগ উপলক্ষ্যে দ্রুত অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে বিচার শুরু করার দাবিতে দেশের ১৫ জন নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার এক যুগ উপলক্ষ্যে দ্রুত অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে বিচার শুরু করার দাবিতে দেশের ১৫ জন নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।
রোববার সকালে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ স্বাক্ষরিতি এ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জে মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। হত্যার ১২ বছর পূর্ণ হচ্ছে, অথচ আজও এর অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে বিচারকার্য শুরু হয় নাই।
“আমরা এ দীর্ঘ সময় বহুবার বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলন, সমাবেশ করে ও সংবাদপত্রে লেখনীর মাধ্যমে এ হত্যার বিচার চেয়েছি। কিন্তু বিগত সরকারের সময়কালে তাদের ইচ্ছাতে সাড়ে এগারো বছর এ বিচারটি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “গত বছরের ৫ অগাস্টে পরিবর্তনের পরে অপরাধী কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে জবানবন্দি দিলে মামলাটিতে নতুন করে গতি সঞ্চার হয় এবং আমরা আশাবাদী হয়ে উঠি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম এখন আবারো বিচার প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। আমরা সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়ে দ্রুত বিচারকার্য শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশিষ্ট লেখক, ভাষা-সংগ্রামী আহমদ রফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার, মানবাধিকার কর্মী ড. বদিউল আলম মজুমদার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, শিক্ষাবিদ ড. সলিমুল্লাহ খান, আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম, লেখক নারী নেত্রী মালেকা বেগম, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, কবি সাংবাদিক সোহরাব হাসান, গণশিল্পী কফিল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান এবং আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।