সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনায় জুলাইয়ে রামপুরা এলাকায় সংঘটিত সব গণহত্যার অভিযানে পুলিশ বেপরোয়া আচরণ চালায়। ১৯ জুলাই রাতে এবং পরবর্তী দিনগুলোতে পুলিশের গুলিতে নিহত ও আহত হন বহু নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ।
রামপুরায় নিরীহ জনতার ওপর হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১৯ জুলাই বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রামপুরার একটি সড়কে পুলিশ গুলিতে আহত হন ৬ বছর বয়সী শিশু বাসিত খান মুসা এবং তার দাদি মায়া ইসলাম। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মায়া ইসলাম পরদিন মারা যান। একই দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন নাদিম ও আমির হোসেন নামে আরও দুজন। এই ঘটনায় অন্তত ২৩ জন নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় ডিএমপি’র সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ছাড়াও খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, সাবেক উপপরিদর্শক তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক চঞ্চল চন্দ্র সরকার আসামি। তাদের মধ্যে চারজন পলাতক, একজন আদালতে হাজির।
আদালত বুধবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। পরবর্তী শুনানি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ আগস্ট।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাণঘাতী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়। তদন্তে তার নির্দেশনাসহ পুলিশি দমন-পীড়ন ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ জানান, এ মামলায় দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগপত্রে গুলির ঘটনা, হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ, এবং সংশ্লিষ্টদের সরাসরি অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।