মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিল না করায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট তাঁকে সশরীরে উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহের মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগেও হাইকোর্ট ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই নির্দেশনার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এই তলব করা হয়।
গত ২৬ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে পৈশাচিক এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, বসতঘরের দরজা ভেঙে এক ২৫ বছর বয়সী হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হয়। এই বর্বর ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে তীব্র তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীকে বেশ কয়েকজন যুবক নির্মমভাবে মারধর করছেন। নারীটি প্রাণপণে আকুতি-মিনতি এবং কান্নাকাটি করলেও যুবকরা তাকে মারধর করে এবং পাশবিক অত্যাচারের ভিডিও ধারণ করতে থাকে।
এ ঘটনাটি কেবল একটি ধর্ষণ নয়, বরং সমাজের দুর্বল অংশের প্রতি সহিংসতা এবং বিচারহীনতার এক জঘন্য উদাহরণ হিসেবে সামনে এসেছে। হাইকোর্টের এই পদক্ষেপ ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। এখন দেখার বিষয়, হাইকোর্টের আদেশ পালিত হয় এবং দোষীরা দ্রুত বিচারের আওতায় আসে কি না।