উলিপুর (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে (১৪) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাঈদুল ইসলাম (২২) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে, গত রবিবার বিকেলে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দঁড়িকিশোরপুর কুমারপাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত বখাটে একই এলাকার শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বখাটে মাঈদুল ইসলামের প্রতিবেশি থেতরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছেন। রবিবার ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসে। পথিমধ্যে বখাটে মাঈদুল তাকে উত্ত্যক্ত করেন। বিকেল চারটার দিকে বাড়ি থেকে বের হলে ফের ওই শিক্ষার্থীকে অশ্লীলভাবে কথা বলেন মাঈদুল। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর দাদি প্রতিবাদ করলে উভয় পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বখাটে মাঈদুল পেছন থেকে এসে ওই শিক্ষর্থীকে দা দিয়ে কোপাতে থাকেন। এ সময় গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্বজনরা।

আহত শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই ছেলে (মাঈদুল) আমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। রাস্তাঘাটে আমি বের হতে পারি না। গতকাল উত্ত্যক্ত করার জেরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় পেছন থেকে এসে দা দিয়ে আমাকে কোপাতে থাকে। এতে মাথায় ১৬টি ও দুই হাতে সাতটি সেলাই করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমি গরীর মানুষ ছোট চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। বখাটে মাঈদুল অনেকদিন ধরে মেয়েটা বিরক্ত করে আসছে। ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

থেতরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আমিন বলেন, বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি। ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। স্কুলের পক্ষ থেকে আহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে সর্বাত্ত্বক সহযোগিতা করা হবে।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনে ওই শিক্ষার্থীকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল তিনটা পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মেয়েটির পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত বখাটেকে আটকের তৎপরতা রয়েছে।