গাজীপুরে গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুই তরুণ নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে পৃথক আরও দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) রাতে কালিয়াকৈর থানায় এই দুটি মামলা রেকর্ড হয়।
নিহতরা হলেন কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০) ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার হাফিজুল ইসলাম গাজী (২৫)। মামলার বাদী হয়েছেন নিহত হাফিজুলের বড় ভাই আব্দুল হামিদ গাজী এবং নিহত মামুনের বন্ধু নয়ন মিয়া।
মামলার বিবরণ:
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে কালিয়াকৈরের সফিপুর আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে ছাত্র-জনতার এক বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালানো হয়। এ সময় গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটায় বহু মানুষ আহত হন। আহতদের মধ্যে হাফিজুল ইসলাম গাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন ৫ আগস্ট মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি তালহা ইবনে অলীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
একই দিন নিহত হন আন্দারমানিক গ্রামের যুবক আব্দুল্লাহ আল মামুনও। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর মানসিক আঘাতে মামুনের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় মামলা করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় পরিবার। অবশেষে বন্ধু নয়ন মিয়া বাদী হয়ে সোমবার আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলায়ও শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য:
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, “দুইটি পৃথক হত্যাকাণ্ডে দুইজন নিহতের ঘটনায় আমরা দুটি মামলা রেকর্ড করেছি। মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় এগোনো হবে।
এ মামলার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় বইছে।