রাজধানীতে সরকারবিরোধী পরিকল্পনা এবং গোপন বৈঠকের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সুমাইয়া তাহমিদ জাফরিনকে ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সুমাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেসবুকে 'ওডিবি-এম-১৭০১' বা 'অপারেশন ঢাকা ব্লকেড' নামের একটি গোপন গ্রুপের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি।
গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এই গ্রুপের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ, গোপন কোড তৈরি, ও সমন্বয়ের কাজ করতেন তিনি।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর কনভেনশন সেন্টার, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক ফ্ল্যাটে একাধিক গোপন বৈঠক আয়োজন করা হয়। এসব বৈঠকে তার স্বামী মেজর সাদিকুল হকও অংশ নেন। বৈঠকগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি এবং নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রমকে সংগঠিত ও সক্রিয় রাখা।
৮ জুলাই রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত গোপন বৈঠকে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগান এবং নানা উসকানিমূলক পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ১৩ জুলাই ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল।
তদন্তকারীরা জানান, সুমাইয়াকে ৬ আগস্ট মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিএমপির ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে, সুমাইয়ার আইনজীবী মোর্শেদ আলম শাহীন বলেন, তার মক্কেল নির্দোষ এবং মামলার এজাহারে তার নাম নেই। তাকে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আদালতে সুমাইয়া নিজেও বক্তব্য দেন এবং বলেন, “আমি আমার স্বামীর সঙ্গে কনভেনশন সেন্টারে গিয়েছিলাম। কী হচ্ছে তা জানতাম না। আমি কোনো অপরাধ করিনি।”