মুরাদনগরে চাচার ঘুষির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ মাচ) রাত ১১টার দিকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ৮ নং চাপিতলা ইউনিয়নের চাপিতলা গ্রামে মুন্সী এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত চাচার নাম জাহাঙ্গীর মুন্সী। নিহত ভাতিজার নাম কাহারুল হক মুন্সী। তিনি মৃতঃ ফজলুল হক মুন্সীর ছেলে। কাহারুল হক মুন্সী চাপিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও চাপিতলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাজী আঃ সাত্তার বলেন, সকালে কাহারুল হক মুন্সী পারিবারিক পুরাতন কবরস্থানে ভেকু দিয়ে মাটি ভরাট করছিলেন এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীর মুন্সী করবস্থানে মাটি ভরাট করতে নিষেধ করেন। এতে চাচা ভাতিজার মধ্যে মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর মুন্সী, জীবন মুন্সী, আব্দুল্লাহ ও রাসেল কাহারুল হক মুন্সীকে পেটে, নাকে, মুখে ও মাথায় ঘুষি মারেন। ঘুষির আঘাতে ঘটনাস্থলেই কাহারুল মুন্সী কবরস্থানের পাশে খালে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চাপিতলা গ্রামে নুরজাহান মেডিকেল হাসপাতাল ভর্তি করেন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার আগেই রাস্তায় কাহারুল হক মুন্সীর মৃত্যু হয়েছে।
কাহারুল হক মুন্সীর স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, জাহাঙ্গীর মুন্সী ও জীবন মুন্সী আমার চাচা শ্বশুর তার ছেলে আব্দুল্লাহ ও রাসেল আমার স্বামীকে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কবরস্থান ভরাট করবে বলে পিটিয়ে হত্যা করে নিমাইজুড়ি নদীতে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই রাস্তায় মারা যায়। আমি স্বামীর হত্যার বিচার চাই।