গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহাবুদ্দিন আজমকে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আটক করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট থেকে তাকে আটক করা হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইলিয়াস হোসেন মুন্সি গণমাধ্যমকে জানান, আগে থেকেই গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতার ভারতে যাওয়ার খবর ছিল। সে অনুযায়ী ইমিগ্রেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়। পরে সকাল ১১টার দিকে তিনি পাসপোর্ট জমা দিলে যাচাই-বাছাই শেষে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এরপরই তাকে আটক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, “আটক জি এম শাহাবুদ্দিন আজমকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা থাকায় আইনানুগ প্রক্রিয়ায় দ্রুত তাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দখলবাজি, সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন এবং সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দমন-পীড়ন ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনিক প্রভাবের কারণে এতদিন কেউ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
অভিযোগ রয়েছে, তার প্রত্যক্ষ মদদে গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে একাধিক সহিংস রাজনৈতিক ঘটনার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন এই নেতা।
তার আটককে কেন্দ্র করে এলাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, আইনের আওতায় এনে তার সব অপকর্মের বিচার হবে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত আটক জি এম শাহাবুদ্দিন আজমকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।#