DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

অপরাধ

মণিরামপুরে গোয়ালের তালা ভেঙে বিধবার ৬ গরু চুরি

মণিরামপুর উপজেলার মাঝিয়ালি গ্রামে এক বিধবার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ছয়টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। চুরি হওয়া ছয়টি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা বলে জানান ভুক্তভোগী।

Printed Edition
Default Image - DS

মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা : মণিরামপুর উপজেলার মাঝিয়ালি গ্রামে এক বিধবার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ছয়টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। চুরি হওয়া ছয়টি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা বলে জানান ভুক্তভোগী। সেলিনা খাতুন (৫০) নামে এক বিধবা মহিলা এ সম্বল হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছে। প্রায় ছয় বছর আগে তার স্বামী আনসার আলী বেগুন ক্ষেতে কীটনাশক ছিটাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত সেলিনা খাতুন বলেন, খুব কষ্টে আটটা গরু পুষেছি। মঙ্গলবার রাত ১১টা দিকে গোয়াল ঘরে তালা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর রাত ৪টার দিকে সেহরি খেতে উঠে দেখি গোয়াল ঘরের দরজা খোলা। দৌঁড়ে গিয়ে দেখি আমার গোয়ালঘর ফাঁকা। দরজার তালা ভেঙে গোয়ালের আটটা গরুর মধ্যে ৬টা চোরেরা নিয়ে গেছে।

তার দেবর মিকাইল হোসেন বলেন, আমি রাত দেড়টার দিকে বাইরে গেলে দেখি গোয়ালে সব ঠিকঠাক আছে। এরপর ভাবির কান্নার চিৎকার শুনে উঠে দেখি গোয়ালে ৬টা গরু নেই। দৌঁড়ে বাড়ির একটু দূরে গিয়ে রাস্তায় গরুর ছেঁডা দড়ি ও একটা গ্যাসলাইট পাইছি। সেখানে গাড়ির চাকার দাগ দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের মাইকে গরু চুরির ঘোষণা দিয়ে আমরা চারদিকে খুঁজতে বেরিয়েছি। কিন্তু খোঁজ পাইনি।

স্থানীয়দের ধারণা, ছোট পিকআপে করে চোরচক্র গরু নিয়ে গেছে। সেলিনা বেগমের আরেক দেবর জাকির হোসেন বলেন, ভাই কোনো জমি রেখে যেতে পারেননি। ভাবি ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলেকে অনেক কষ্টে বিদেশে পাঠিয়েছেন। একটা ছেলে ছোট। মেজ ছেলে মুরাদ মাঠে জমি বর্গা নিয়ে চাষের কাজ করে। বাড়িতে ভাবি গরু পালন করে সংসার টিকিয়ে রেখেছেন। এখন চোর তাঁকে নিঃস্ব করে গেছে। বুধবার সকালে থানায় গিয়ে গরু চুরির বিষয়ে পুলিশে জানাইছি। সহকারী পুলিশ সুপার (মণিরামপুর সার্কেলে) এমদাদুল হক ও মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। চোর চক্র চিহ্নিত করতে আমরা কাজ করছি।

খেদাপাড়া বাজারে তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড

মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া বাজারের তাবাচ্ছুম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি জ্বালানি তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ডিপোর ম্যানেজার গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। তেল ডিপোর মালিক ৭ নং খেদাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক জানান, সকালে ডিপোতে ম্যানেজার কাজ করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ দোকানের ভেতরে আগুন লেগে যায়। তখন প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে গিয়ে ম্যানেজার অগ্নিদগ্ধ হন। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডিপো মালিক আরও জানান, সেখানে ব্যারেলে কেরোসিন ও ডিজেল ছিল। কিছু গ্যাস সিলিন্ডারও ছিল। আগুন লেগে একটি মোটরসাইকেল, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ ভেতরে সব পুড়ে গেছে। মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন মিডিয়াকে জানান, খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। পরে যশোর ও ঝিকরগাছা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ৪৫ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ডিপো মালিক আব্দুল হক দাবি করেছেন।