আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে মিলল দম্পতিসহ চার বছরের শিশুর লাশ

রাজশাহীর এক বাড়িতে উদ্ধার দুই সন্তানসহ এক দম্পতির লাশ

মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার ময়মনসিংহে

ঢাকার আশুলিয়ায় ঘরে মিলল একই পরিবারের তিনজনের লাশ। এ ঘটনার একদিন পরই নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসার দরজা ভেঙে চার বছরের শিশুসহ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় কাছাকাছি সময়ে রাজশাহীতে ঘর থেকে দুই সন্তান ও বাবা-মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই পৃথক তিন ঘটনায় তিনটি পরিবার থেকে শিশু সন্তান ও তাদের বাবা-মাসহ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে জনমনে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে প্রতিবেশি ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন-কি কারণে ঘটনা ঘটেছে সে রহস্য উদঘাটন হওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও তদন্ত সংশ্লিরা মনে করছেনÑ পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকা-গুলো ঘটেছে। তবে এর পেছনে আরও কোনো কারণ রয়েছে কিনা বা পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যাকা- ঘটিয়েছে কিনা এ বিষয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। লাশের ময়না তদন্ত, ভিসেরা পরীক্ষা ও ফরেনসিক আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব।

জানা গেছে, শুধু এই তিনটি হত্যাকা-ের ঘটনাই নয়, সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাকা-ের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পারিবারিক নৃশংসতাও দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নিরপত্তা নিয়ে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে পারিবারিক সম্পর্কও। এ ধরনের নৃশংস হত্যাকা- কেন বাড়ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সবের পেছনে মূলত ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের অভাব এবং সুশিক্ষা না থাকা দায়ী। পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার চরম সঙ্কটও দায়ী। দায়ী মানবিকতার চর্চা কমে যাওয়া। মুসলিম সমাজে ইসলামী অনুশাসন না মানার ফলে হাজারো সমস্যা তৈরি হয়। রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় ও আদর্শিক শূন্যতা থেকেও এমন ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। অন্যায়, দুর্নীতি, অবিচার, নাগরিকদের সকল ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে। মানুষ দায়িত্বহীন হয়ে গেলে তখন অপর মানুষেরা অধিকার বঞ্চিত হয়। অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, আস্থার অভাব, অবিশ্বাস থেকেই মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে ইন্টারনেটের অযাচিত ব্যবহার এ ক্ষেত্রে বিরূপ ভূমিকা পালন করছে বলে অনেকেই মনে করেন।

একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার: ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সন্তানসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে স্বামীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায়, কন্যা সন্তান ও স্ত্রীর লাশ বিছানা থেকে উদ্ধার করা হয়। রোববার রাত ৮টার দিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুরের হা-মীম পোশাক কারখানার তিন নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকার আবুল হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেনÑ বগুড়া জেলার ধুনট থানার নলডাঙা গ্রামের রুবেল আহমেদ (৩৫), তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বগুড়ার বড়িতলি এলাকার বাসিন্দা ও তাদের ৫ বছরের কন্যা সন্তাস জামিলা। স্থানীয়রা বলেন, সোনিয়া বেগম তার স্বামী সন্তান নিয়ে ওই আবুল হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বিকেলে ওই বাসায় কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্তানের মুখ থেকে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে ও স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্বামী রুবেল কী কারণে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকার একটি টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় বাকি দুইজনের লাশ বিছানা থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তাদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দম্পতি ও চার বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার: নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতি ও তাদের চার বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যার দিকে দরজা ভেঙে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করেন। মারা যাওয়া তিনজন হলেনÑ হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৪) এবং তাদের চার বছরের ছেলে আফরান। হাবিবুল্লাহ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকার বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জে আমের আড়তে কাজ করতেন। বউবাজার এলাকার পলাশ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় পরিবারসহ ভাড়ায় থাকতেন হাবিবুল্লাহ। এর আগে তিনি রমজান নামের এক ব্যক্তির সমবায় সমিতিতে কাজ করতেন। রমজান মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। হাবিবুল্লার বড় ভাই মো. লাভলু জানান, ‘দিনভর ভাইয়ের কোনো খবর পাচ্ছিলাম না। দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। বিছানায় পড়ে ছিল ভাবি ও ভাতিজার লাশ। আমার ভাই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। তার কিছু ঋণ ছিল। তবে কত টাকা, সেটা জানি না।’ পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, রোববার রাত থেকে পরদিন বিকেলের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। এদিকে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবরে স্বজন ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, হাবিবুল্লাহ আগে রমজানের সমিতিতে কাজ করতেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সমিতির টাকার জন্য পাওনাদারদের চাপেই তিনি চরম হতাশায় পড়েছিলেন। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই হয়তো স্ত্রী-সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

দুই সন্তানসহ দম্পতির লাশ উদ্ধার: রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি বাড়িতে দুই সন্তানসহ এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিলা ইউনিয়নের বামনশিকড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে যেকোনো সময় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়। মৃতরা হলেন-মিনারুল, তার স্ত্রী মনিরা এবং তাদের দুই সন্তান মিথিলা ও মাহিম। জানা গেছে, মৃত্যুর আগে মনিরুল একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। নোটে তিনি ঋণগ্রস্ত এবং প্রচ- অভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মনিরুল তার স্ত্রী ও সন্তানদের শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

গলাকাটা লাশ উদ্ধার: কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার কিছু সময় পর সগির হোসেন (২৫) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের নাজিরেরবাগ এলাকার সুধার বাড়ি সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সগিরের বাড়ি শুভাঢ্যা উত্তরপাড়া এলাকায়। তিনি পুরান ঢাকার ইসলামপুরে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে নাজিরেরবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার: ঝিনাইদহে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘরের দেয়ালে তাকে হত্যার কারণও লেখা ছিল। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রাম থেকে তোয়াজ উদ্দিন শেখ নামের ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকালে তোয়াজ উদ্দিনের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা তার স্বজনদের খবর দেয়। পরে স্বজনরা জানালা দিয়ে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের তালা ভেঙে হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নারীর লাশ উদ্ধার: ফরিদপুরে একটি ভাড়া বাসা থেকে মিম আক্তার (১৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনার পর তার স্বামী ওই বাসা থেকে পালিয়ে গেছেন। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ২টার দিকে জেলা শহরের রঘুনন্দনপুরের একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারী শরীয়তপুরের জাজিরা সদর ইউনিয়নের সিরাজ শেখের মেয়ে। ছয় মাস আগে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর গ্রামের মিরাজ বিশ্বাস নামের এক যুবক এবং ওই নারী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেন।

দুজনের লাশ উদ্ধার: গত ১৯ জানুয়ারি খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ট্রাক টার্মিনাল এলাকার একটি বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেনÑ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী হাসানবাগ এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (১৭) ও সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের একটি লেদ কারখানার মিস্ত্রি মো. আক্তার (৪৫)। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমতাজুল হক জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মধ্যে থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। তাদের গলায় গামছা ও রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল।

মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক নারী ও তার দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৪ জুলাই সকালে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন-ময়না বেগম (২৫), তার সাত বছর বয়সী মেয়ে রাইসা আক্তার ও দুই বছর বয়সী ছেলে মো. নিরব। পুলিশ জানায়, ভালুকা পৌরসভার টিএন্ডটি রোড এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের সেনের বাজার গ্রামে। তিনি ভালুকায় স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।

৩ জনের লাশ উদ্ধার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বারোয়ারি বটতলা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানি সরকার (৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)। প্রত্যক্ষদর্শী ও তাড়াশ থানার ওসি জানান, তাদেরকে দুইদিন ধরে না পেয়ে স্বজনরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে তালা ঝোলানো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় তাদেরকে কুপিয়ে ও জবাই হত্যা করা হয়েছে।

ময়মনসিংহে রহস্য উদঘাটন: ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়া বাসায় গৃহবধূ ময়না আক্তার ও তার দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর থেকেই পলাতক ছিল নিহত ময়নার দেবর নজরুল। সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ জানায়, চাহিদা মতো খাবার না দেওয়া, অবহেলা ও মারধর করায় আক্রোশ থেকে ভাবি ও দুই ভাতিজা-ভাতিজির প্রাণ নেয় নজরুল। পরে স্থানীয় বাজারে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বিক্রি করে দিয়ে পালায় সে। মোবাইলে কথা বলার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার পরদিন ১৫ জুলাই বিকেলে গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে নজরুলকে গ্রেফতার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে হত্যার রহস্য।