নাটোরে নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরপাড়া মিজাপুরদীঘায় পূর্ব বিরোধের জেরে বাবা ও ছেলেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে সাবেক বিএনপি নেতা নুর হোসেন ও তার লোকজন। আহতরা একই এলাকার শফিকুল ইসলাম (৫৫)ও ছেলে রাকিব (২২) । স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠালে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাদের কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেঘরপাড়া মিজাপুরদীঘা গ্রামের বিএনপি নেতা নুর হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক । গত রোববার রাত সাড়ে এগারোটায় নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরপাড়া মিজাপুরদীঘা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

natore-victin-1

এ ঘটনায় আহতের ছোট ভাই মহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা নুর হোসেন সহ ছয়জনের নাম উল্লেখ ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত করে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে সূত্রে জানাযায়, গত রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ১১ টায় রাকিব মোল্লা (২৪) নিজ বাসার সিড়িতে বসে মোবাইল দেখছিল। তখন নুর হোসেন ও তার ছেলে কৌশিক, ভাতিজাসহ তার লোকজন রাকিব মোল্লাকে গামছা দিয়ে চোখ বেধে এক নং আসামি নুর হোসেনের বাড়িতে তুলে নিয়ে বেধড়ক হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। কিছুক্ষণ পর রাকিবের বাবা শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্তরাই ফোন করে রাকিবের অবস্থার ঘটনা বললে বাবা ছেলে রাকিবকে উদ্ধারে ছুটে গেলে নুর হোসেন ও তার আত্বীয় স্বজনেরা দেশীয় অস্ত্র রামদা ,রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতারীভাবে বাবা-ছেলেকে মারপিট ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করলে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এবং অভিযুক্তরাই নলডাঙ্গা থানা পুলিশকে ফোন করে বলে রাকিব ও তার বাবা দলবল নিয়ে তার মেয়েকে অপহরন করতে বাসায় আসেন। বর্তমান বাবা ও ছেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

natore-victin-2

আহত শফিকুলের ছোট ভাই মহিদুল ইসলাম বলেন, নুর হোসেনের মেয়ের সাথে আমার ভাতিজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠলে মেয়ে পক্ষ মেনে নিতে পারেনি। এ বিষয়ে উভয় পক্ষই আর কোন সম্পর্কে জড়াবে না বলে সম্মতি দিয়েছে। এরপর ও মেয়ে পক্ষ কেন এই মারপিট করলেন ? ভাতিজার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বর্তমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছে। বাবা ও ছেলে দুজনই এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। উল্টোই আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে মুঠো ফোনে অভিযুক্ত নুর হোসেনে বলেন, রাকিব তার মেয়েকে মাঝে মধ্যেই বিরক্ত করত। বার বার নিষেধ করেছি কিন্তু কোনো কথা শোনেনা। বরং রোববার রাত একটার দিকে রাকিব ও তার বাবা দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে জোর করে আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিতে আসে । এ বিষটি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে এসে রাকিব ও তার বাবাকে নিয়ে জায়। মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি গভীর রাতে হওয়ায় আমার বাসার বাইরে কি হয়েছে তা আমি জানি না।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংগ্রামকে বলেন, এ ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।