সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, মাগুরা শাখা থেকে এক গ্রাহকের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে জমা থাকা ৮৭ লাখ টাকা কে বা কারা উত্তোলন করেছে, তা এখনও অজানা। গ্রাহক ব্যাংকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। খবর ইউএনবির
গ্রাহক মো. টিটুল জানান, 'তিনি উষা এস.সি. লিমিটেডের মালিক ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তার প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংকে একটি চলতি হিসাব রয়েছে, যার নম্বর ২৪১৪২০০০১৮৩৫২। তিনি নিজে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওই হিসাব নম্বরে মোট ৮৭ লাখ টাকা জমা করেছিলেন।'
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি কোনো চেক গ্রহণ করিনি। দীর্ঘদিন পর জানতে পারি যে, কে বা কারা আমার হিসাব থেকে ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে।'
'আমার কাছে অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র আছে। আমার ধারণা, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে কোনো প্রতারক চক্র এই টাকা তুলে নিয়েছে। সেখানে যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, তা আমার নয়। হিসাব খোলার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বর ছিল ০১৬৮৫-৫৫৭৬৫৬।'
তিনি আরও বলেন, 'ব্যাংকিং নিয়ম অনুসারে কোনো গ্রাহক ৫০ হাজার টাকার চেক দিলেও অ্যাকাউন্টধারীকে ফোনে জানাতে হয়। কিন্তু এখানে ১০ লাখ বা ২০ লাখ টাকা একবারে উত্তোলন করা হয়েছে, অথচ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো যোগাযোগ করেনি। সোনালী ব্যাংকের মতো স্বনামধন্য ব্যাংকে এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো, তা অজানা।'
সোনালী ব্যাংক মাগুরা শাখার ম্যানেজার জানান, এই ঘটনা আগের ম্যানেজারের সময় সংঘটিত হয়েছে, তাই দায়ভার তার ওপর বর্তায়। লিখিত অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি বলেন, গ্রাহককে বারবার ব্যাংকে আসার অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তিনি আসেননি।
টিটুল আরও জানান, তার অনুমতি ছাড়া ব্যাংকের চেক বই ইস্যু করা হয়েছে এবং ধাপে ধাপে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে কোনো সতর্কতা দেওয়া হয়নি।
তিনি এই প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে ফৌজদারি আইনে মামলা করার জন্য ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করেছেন। আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় গ্রাহক নিজেই ব্যাংকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।