DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

অপরাধ

গাজীপুরে গজারিবন থেকে অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার

গভীর গজারিবনের নিস্তব্ধতা ভেদ করে ফুটে ওঠা এক বিভীষিকাময় দৃশ্য—এক যুবকের নিথর দেহ পড়ে আছে রক্তমাখা মাটির ওপর। পাশেই শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ, যেন জানিয়ে দিচ্ছে, এখানে ঘটেছে এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড।

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর
ইয়াসিন রানা-গাজীপুর
গাজীপুরে গজারিবন থেকে অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার

গভীর গজারিবনের নিস্তব্ধতা ভেদ করে ফুটে ওঠা এক বিভীষিকাময় দৃশ্য—এক যুবকের নিথর দেহ পড়ে আছে রক্তমাখা মাটির ওপর। পাশেই শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ, যেন জানিয়ে দিচ্ছে, এখানে ঘটেছে এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। নিহত যুবকের নাম ইয়াসিন রানা (২৩), পেশায় অটোরিকশা চালক। কিন্তু রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন জানা যায়, তাঁর অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে, শ্রীপুরের ভইরাগির চালা মান্নান টেক্সটাইলের সামনে থেকে!

ইয়াসিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার সুতারপাড়া গ্রামে। গাজীপুরের শিরিরচালা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা নিয়ে বের হন, কিন্তু আর ফিরে আসেননি। সারাদিন পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাননি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উদ্বেগ। অবশেষে শনিবার সকালে গজারিবনের ভেতর এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

জয়দেবপুর থানার ওসি মোঃ আবদুল হালিম বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইয়াসিনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।ওইসময় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়েছিল, যা আঘাতের ইঙ্গিত দেয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, তাঁর অটোরিকশাটি চুরি যায়নি। এটি ঘটনাস্থল থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেছে। ছিনতাইয়ের জন্য হত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।" বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পরিবারের আহাজারি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

এলোপাতাড়ি জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করা ইয়াসিনের মৃত্যু পরিবারের জন্য এক চরম দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছে। ইয়াসিনের পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। তারা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অপরাধীরা কি ধরা পড়বে? নাকি এই হত্যাকাণ্ডও হারিয়ে যাবে অন্ধকারের গহ্বরে? এসব প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে। তবে ইয়াসিনের মৃত্যু এক করুণ বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরছে—এ শহরে জীবনের নিরাপত্তা কতটা নড়বড়ে!