বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার সাথে কিশোরী মেয়ের বিয়ে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল (৩৫) না‌মের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা জিতু ও বাহিনীর সদস্যরা।

নিহত শাকিল বগুড়া শহরের শিববাটী এলাকার মৃত আবু হানিফের ছেলে। শাকিল পেশায় রিকশা চালক ছিলেন। বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আলমাস আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, শাকিল শিববাটি এলাকায় জনৈক রানার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। তার এক কিশোরী কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জিতু ইসলাম। কিন্তু জিতুর বয়স অনেক বেশী হওয়ার কারনে শাকিল বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হননি।

শনিবার দুপুরের দিকে জিতুর নেতৃত্বে ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। মেয়ের বিয়ে না দেয়ার কারনে সেখানে শাকিলকে বেদম মারপিট করা হয়। পরে তাকে নদীর ঘাটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে দিলে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান।

পুলিশ পরিদর্শক আলমাস আলী বলেন, ঘটনার পরপরই দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধনে জানাগেছে, মেয়েকে বিয়ে না দেয়ায় শাকিলকে মারপিট করে চাকুসহ পুলিশে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল বখাটে যুবকদের। কিন্তু শাকিল গুরুতর আহত হওয়ার কারনে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের একাধিক টীম অভিযান শুরু করেছে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল  মোস্তফা মুঞ্জুর জানান, বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং মুল আসামি জিতুসহ  ২ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।