নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভাড়াটিয়া সেজে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবারটি আজ শনিবার ১৫ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতিসহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী সুমিত কুমার আগারওয়ালা লিখিতভাবে অভিযোগ করেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রদীপ কুমার আগারওয়ালার কথিত পাওয়ার অব এ্যাটর্নি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হিল্লোল রায় নামের এক ব্যাক্তি ওই বাড়িটি সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেনকে ভাড়া দেন। তবে প্রদীপ কুমার আগারওয়ালা তার প্রাপ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভারতে বসবাস করছেন। তিনি কিভাবে অন্যদেশের কাউকে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি প্রদান করতে পারেন। তাছাড়া সম্পত্তির বাটোয়ারা নিয়ে যেহেতু বিজ্ঞ আদালতে মোকদ্দমা চলমান, সেখানে কিভাবে তৃতীয়পক্ষের কেউ এসে মাতব্বরী করে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমিত কুমার আগারওয়ালা বলেন, আলতাফ হোসেন এ বছরের জানুয়ারীতে ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন। তবে মার্চ মাসের ২ তারিখে দলিল-দস্তাবেজ নোটারী পাবলিক করেছেন। তার এসব কর্মকান্ডই প্রমাণ করে যে, সব কিছুই তার সাজানো নাটক। এ সময় তিনি আরো বলেন, পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকে। আমার পরিবারও তার বাইরে নয়। আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি নিয়ে আমি আর প্রদীপ বাবু মারামারি করব। এখানে তৃতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়া আলতাফ হোসেনের এত উৎসাহ কেন?

সংবাদ সম্মেলনে সুমিত কুমার বলেন, আমি জেলা বিএনপির সহ সভাপতি। আমার পিতার নিমন্ত্রণে ওই বাড়িতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এসেছিলেন। ওই বাড়িতে নিয়মিত বিএনপির জাতীয় নেতাদের আসা-যাওয়া ছিল। আগারওয়ালা পরিবারের মধ্যে একমাত্র আমরাই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অন্য ওয়ারিশরা ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও উচ্ছেদ চেষ্টা অভিযোগ করে বাড়িভাড়া সংক্রান্ত চুক্তিনামা ও কাগজপত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন জানান, তার সম্মানহানি ঘটানোর জন্য তিনি সুমিত কুমার আগারওয়ালা ও অমিত কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।