যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামকে যশোর আদালতে হাজির করার পর শ্যোনঅ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আদালতে হাজিরের পর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুল ইসলাম এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর কোতোয়ালি থানা পুলিশ যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডস্থ আইএনবি ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় যুবলীগের এক মিছিলের ব্যানার তৈরি চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই দুজনকে আটক করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রুজু হয় এবং সেই মামলায় শাহারুল ইসলামকেও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মামলার পর থেকেই শাহারুল ইসলামের অবস্থান নিয়ে নানান আলোচনা তৈরি হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর, ৩০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ রাজধানীর শিশুমেলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে। ঢাকার একটি মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তাকে সেদিনই আদালতে সোপর্দ করে।

উল্লেখিত মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানার পর যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ আদালতে আবেদন জানিয়ে শাহারুল ইসলামকে স্থানীয় মামলায় শ্যোনঅ্যারেস্ট দেখানোর অনুরোধ করে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার তাকে যশোরে সংশ্লিষ্ট মামলায় আটক দেখানো হয় এবং আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ অনুযায়ী, অনুমোদন ছাড়া রাজনৈতিক ব্যানার তৈরির অভিযোগ এবং অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দির ভিত্তিতে শাহারুল ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে, শাহারুল ইসলামের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তাদের মক্কেল রাজনৈতিক কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মামলার প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন তারা এবং আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে পুলিশ বলছে, মামলায় যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে এবং আইন অনুযায়ী সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বরং পুরো ঘটনাই আইনি কাঠামোর মধ্যেই হয়েছে।

আদালতে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হলে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মন্তব্য। বর্তমানে শাহারুল ইসলাম যশোর কারাগারে রয়েছেন এবং মামলা চলমান রয়েছে।