গাজীপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক মাংস ব্যবসায়ী যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের কাছে থাকা নগদ এক লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। সোমবার ভোররাতে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মনিরুল ইসলাম (১৯)। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ থানার মিল্কি এলাকায়। বাবা আব্দুস সামাদের সঙ্গে তিনি গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাস এলাকার একতা মার্কেট গলির একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং মাংস বিক্রির পাশাপাশি চায়ের দোকানের ব্যবসা করতেন।

ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাব্বি (১৯) নামে একজনকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

জিএমপির বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ জানান, সোমবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে মনিরুল ইসলাম এক বন্ধুর ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হন। তিনি একতা মার্কেট গলিতে পৌঁছানো মাত্রই পাঁচ যুবক তার পথরোধ করে এবং তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় মনিরুল বাধা দিলে তারা তার হাঁটুর ওপরে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত মনিরুলকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি কায়সার আহমেদ বলেন, “অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যার উদ্দেশ্য ছিল মাংস বিক্রির টাকা ছিনিয়ে নেওয়া। আমরা ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

এ ঘটনায় আটক যুবক রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিহত মনিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবরে তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাবা আব্দুস সামাদ আহাজারি করে বলেন, "আমার ছেলে কারও সঙ্গে খারাপ কিছু করতো না। কেন তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো!"

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, এবং স্থানীয়রা দোষীদের দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।