নিকলী উপজেলা সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করার প্রতিবাদে আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।

জানা গেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সজিব ঘোষের কাছে চিকিৎসা নিতে যান নিকলী উপজেলা সদরের ৪নং ওয়ার্ডের বানিয়া হাটি গ্রামের মরহুম সুরুজ আলীর বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম। এ সময় চিকিৎসক তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বললে তিনি আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে চিকিৎসকের কাছে ডায়বেটিসের ঔষধের আবদার করলে ডাঃ সজিব ঘোষ তাকে পুনরায় পরিক্ষা ছাড়া ঔষধ দিতে আপত্তি তোলেন। এই সময়ে রফিকুল ঔষধের জন্যে কাকুতি মিনতি করলে ডাক্তার ক্ষেপে গিয়ে রোগীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে তুই-তুকারি শব্দ ব্যবহার করেন এবং চেয়ার থেকে উঠে তাকে কয়েকটি চর থাপ্পড় মারেন। এ সময় থাপ্পড়ের প্রতিবাদে কান্নারত কন্ঠে উচ্চস্বরে লোকজনকে জানানোর চেষ্টা করাতেই পুনরায় ডাঃ সজিবের নির্দেশে তাকে অন্ততপক্ষে ৬/৭ জন অফিস স্টাফ মিলে মারধর করে। এক পর্যায়ে রোগীকে গেট বন্ধ করে আটকে রাখা হয়। এ সময় রোগীকে ফাঁসানোর লক্ষ্যে ডাঃ সজিব ঘোষের নির্দেশে তার স্টাফরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চেম্বারের কয়েকটি চেয়ার ফ্লোরে এলোপাথাড়ি ফেলে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সেবা প্রত্যাশী রফিককে থানা হাজাতে নিয়ে আটক করে রাখে। এ সময় খবর পেয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী সেখানে হাজির হয়ে রফিকের কান্নার আওয়াজও শুনতে পেলেও সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেননি ডাঃ সজিব।

নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন সরকারি মালামাল ভাংচুর ও ডাঃ সজিব ঘোষকে মারধর করা হয়েছে মর্মে ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টার দিকে মামলা ও পরদিন সকাল ৮ র দিকে রফিককে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলখানাতে প্রেরণ করেন।

এসব ঘটনার প্রতিবাদে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টার দিকে শহীদ স্মরণীকা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মোড় থেকে নিকলী সদর হাসপাতালের সম্মুখে মানববন্ধন করেন অসংখ্য প্রতিবাদী নারী পুরুষ। তারা ডা.সজীব ঘোষের বিচার দাবি করেন।