জুলাই আন্দোলন চলা কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, “সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান ও বিজ্ঞানের কেন্দ্র। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য— আমরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সে মানে উন্নীত করতে পারিনি। অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় বিপুল অর্থ বরাদ্দ থাকে। অথচ আমাদের দেশে গবেষণার বরাদ্দ কম, আর যেটুকু থাকে, সেটিও মেধার ভিত্তিতে নয়, বরং রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। যেমন— সাদা দল, নীল দল ইত্যাদি।”

তিনি বলেন, “আশা করি, ভবিষ্যতের জকসু নির্বাচনে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে। যারা ভোট দেবে, তাদের প্রতিও শুভকামনা রইল।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভালো মানুষ তৈরি করা— জ্ঞাননির্ভর সমাজ ও মানুষ গড়ে তোলা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির এই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি চালিয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি।”

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিরোধী দল হিসেবে ইতিহাস বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং সরকারি দল হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রানার্সআপ হয়। ফাইনাল বিতর্কে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন জয়ী দলের রুকসানা মিতু।

রুকসানা মিতু বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই চমৎকার আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। বিতর্কের বিষয়গুলো সমসাময়িক হওয়ায় আমরা সমকালীন নানা বিষয়ে জানার ও মত প্রকাশের সুযোগ পাই।”

‘জকসু নির্বাচনে এই সংসদ অরাজনৈতিক প্রার্থীদের সমর্থন দেবে’— এই প্রস্তাবের ওপর চূড়ান্ত বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি দল অংশ নেয়, প্রতিটি দলে ৩ জন করে বিতার্কিক ছিলেন। প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় ট্যাব ফরম্যাটে, যেখানে প্রতিটি দল ৩ রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সাজিদের বড় বোন ফারজানা হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।