শতাব্দিতেও পূর্ণতা পায়নি ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাওরাকাঠি নব আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। ১৯৭২ সালে স্থাপিত প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ৫০ বছরেও পূর্ণতা পায়নি। বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি সংস্কারের অভাবে খসে পড়ছে পলেস্তরা। প্রতিবছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পিছিয়ে নেই প্রতিষ্ঠানটি। সরেজমিনে জানা গেছে উপজেলার সাওরাকাঠি ও আশেপাশের গ্রামে নারীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এই গার্লস হাই স্কুলটি স্থানীয় শিক্ষানুরাগীগণ প্রতিষ্ঠা করেন।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হওয়ার পর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির সন্তানেরা লেখাপড়া করে চাকুরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্ভী হয়েছে। ওই ইউনিয়নে আর কোন গার্লস হাই স্কুল না থাকায় শুরুতেই শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা দেয়। প্রথমে কযেকজন শিক্ষক নিয়ে ক্লাস শুরু হরেও বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৬ জন। এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে শিক্ষা বিস্তারের চিত্র।বাড়তে থাকে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। শুরুর দিকে এলাকায় নিরক্ষতা দূর করতে বিনা বেতনে বিদ্যালয়ের স্বার্থে একাধিক মেধাবী শিক্ষক/ শিক্ষিকা স্বেচ্ছায় পাঠদান দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় বছর জিপিএ ৫.০০ সহ ভালো ফলাফল করার রেকর্ড আছে।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।খসে পড়ছে পুরাতন ভবনের পলেস্তরা। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পুরাতন এ ভবনটি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও দূর্ঘটনারোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারী বরাদ্দের প্রয়োজন।কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নতুন চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন প্রয়োজন।
প্রধান শিক্ষক গোপাল কৃষ্ণ বড়াল বলেন, পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করছেন।তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে নতুন একটি ভবন প্রয়োজন। এ বিদ্যালয় থেকে গ্রামের অসহায় গরীব মেহনতি মানুষের সন্তানেরা লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ গ্রহন করে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হচ্ছে।