স্বৈরাচার পতনের স্মরণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণধিক্কার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে মহুয়াতলায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছবি নামানোর কাজটি এখন যতটা সহজ মনে হয়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে তা ছিল না। অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা দেশের ১৮ কোটি মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন ছবি নামিয়ে। তার যে স্পিরিট, তা আমাদের ধারণ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “মতভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু বিদ্বেষ চলবে না। যদি থাকে, তবে আমরা পরাজিত শক্তিকে আহ্বান জানাব। আমাদের যেকোনো সমস্যা আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ‘৩৬ জুলাই স্বৈরাচার হাসিনার পতন দিবস উদযাপন–২০২৫’ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। বক্তব্য দেন তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রাশিদুল আলম।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রশিদ জিতু, তৌহিদ মো. সিয়াম ও মোহাম্মদ সিফাতুল্লাহ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদী মামুন। সমাবেশে বক্তারা ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান’ ও ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা’কে জাতীয় রাজনীতিতে শক্তভাবে ধারণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

এর আগে সকাল ৭টায় একই স্থানে ‘জুলাই ম্যারাথন’ এবং দিনব্যাপী রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দিনশেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার, মেডেল ও সনদ তুলে দেন অধ্যাপক শামছুল আলম।