জবি সংবাদদাতা : ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, খুনি হাসিনা বাংলাদেশকে তার একান্ত সম্পদ মনে করতেন। এজন্য তিনি যা ইচ্ছা তাই করতেন। অহংকার ও জুলুমের জন্যই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে।

গতকাল ২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ মাঠে কবি মতিউর রহমান মল্লিক মেরিট অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি জ্ঞান অর্জনের জন্য কিন্তু আমরা ছুটছি একটি সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করার জন্য। জ্ঞানের প্রতিযোগিতার দিক থেকে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। পৃথিবীতে সবাই জ্ঞান অর্জন করে কিন্তু উপলব্ধি করার দিকে অগ্রসর হয় না। পশ্চাৎ সমাজ পোস্ট কলোনিয়াল থিম প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা মানবতা শেখায় আবার তারাই মানবতা ধ্বংস করে।"

ইসলামিক স্ট্রাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "অনুভূতি প্রকাশ এমন একটি ব্যাপার যা এমন কোনো কলম নেই যে বলা যাবে না, এমন কোনো মুখ নেই যে বলা যাবে না। যে ছেলে ক্লাস ৬ ও ৭ এ ফেল করতাম সে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে আজ আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবো ভাবিনি। ছাত্রশিবির মেধাবীদের মূল্যায়ন করে। জবির সবাই মেধাবী আমাদের যে আল্লাহ বাছাই করেছেন আমাদের দায়িত্ব ও বেশি দিয়েছেন।"

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জবি ভিসি রেজাউল করিম বলেন, "আমাদের বিগত ১৭ বছর মুসলিম পরিচয় দিতে হীনমন্যতায় থাকতে হয়েছে। অন্যের কথা নয়, আমি নিজের কথা বলছি। আমরা দুআ প্রার্থনা করি, মসজিদে গিয়ে। আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য মসজিদ থেকে উত্তম জায়গা আর হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মের ও মতের প্রোগ্রাম ও চর্চা চলবে৷ কেউ কোনো বৈষম্যের শিকার হবে না।"

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউটিএলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, হল প্রোভোস্ট আঞ্জুমান আরা, জবি ইউটিএলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবু লায়েক, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আফজাল। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।