২৪-এর শহিদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি চলবে না --------------- অধ্যাপক আবদুল হাই শিকদার
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়, যা স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার, ন্যায় ও গণতন্ত্রের জন্য জনগণের ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক। সুতরাং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।
গতকাল রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে যথাযোগ্য মর্যাদায় “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” পালন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের রক্তের সাথে কোন প্রকার গাদ্দারি মেনে নেয়া হবে না। এ রক্তের সাথে গাদ্দারি করে বাংলাদেশে আর কেউ টিকতে পারবে না। তিনি বলেন, যে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে তাদের সাথে আলোচনা করা দরকার। দেশ নিয়ে তারা যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ইতিহাসের সকল বিপ্লবে তরুণরাই মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে যেকোনো ধরনের মব জাস্টিস জুলাই অভ্যুত্থানের পরিপন্থি উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির লক্ষ্যই ছিল তরুণদের গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য।
জুলাই ঘোষণা পত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করার দিনটি জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্তের দিন, কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে এদিন সব রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে একই মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এ দিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ্য হওয়ার সূত্রপাত হয়েছে বলেও উল্লেখ তিনি।
বাংলা সংস্কৃতি ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাংস্কৃতিকভাবে আমরা ভারতীয় শব্দের আগ্রাসনের শিকার। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে সাংস্কৃতিক বিরোধে আমাদের জয়ী হতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বের হয়ে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির উপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এবং উপস্থাপনা করেন রেজিস্ট্রার মো : আইউব হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এ. এস. এম মামুনুর রহমান খলিলী, কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ ও তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার (টঙ্গী) শিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ এবং জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু সালেহ মুহাম্মদ মুসা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মোঃ রফিক আল মামুন, উপ-রেজিস্ট্রার ফাহাদ আহমদ মোমতাজী’সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।