জাকসু নির্বাচনে ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার মেয়েদের জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে সংস্থাটি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার মেয়েদের জড়িয়ে মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী মুনজিয়া ও সেক্রেটারি জেনারেল উম্মে আরওয়া নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
জাকসু নির্বাচনে ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ইসলামী ছাত্রীসংস্থার মেয়েদের জাল ভোট দেয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা এ বিবৃতি দেন।
যৌথ বিবৃতি তারা বলেন, ‘ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রীসংস্থার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং ১৫ নম্বর ছাত্রী হলের অনিয়মের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওর ক্যাপশনে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রমাণ নেই যে ছাত্রীসংস্থার মেয়েরা জাল ভোট দিয়েছে।’
তারা সকলকে মিথ্যাসংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেছেন এবং একইসাথে নিরাপদ ও স্বাধীন ক্যাম্পাস গঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ছাত্রীসংস্থার নেত্রীরা বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিগত আইডি, গ্রুপ এমনকি ছাত্রদলের অফিসিয়াল পেইজ থেকে একটি ভিডিওর ক্যাপশনে পোস্ট করা হচ্ছে, “দরজা আটকিয়ে ছাত্রীসংস্থার মেয়েরা জাল ভোট দিচ্ছিলো, ড. নাহরিন ম্যাম হাতেনাতে ধরে ফেললেন।’ অথচ ভিডিওতে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, ভোট কেন্দ্রের শিক্ষকদের উদ্দেশে কথা বলছেন তিনি। ভিডিওতে ছাত্রীসংস্থার বিরুদ্ধে এমন কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। তাহলে ছাত্রীসংস্থার নামে কিসের ভিত্তিতে এ অভিযোগ করা হচ্ছে?’
তারা কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের পর আমরা বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য, অন্যায়, মিথ্যাচার, রাতের ভোট, ফ্যাসিজমের উত্থান দেখতে চাই না। আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে যার যার স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে দেশ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য কাজ করে যেতে চাই। এখানে যে বা যারাই বাধা দিতে চাইবে কিংবা দায় চাপানোর মতো অসুস্থ রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চাইবে, তাদের সম্মিলিতভাবে রুখে দেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।’
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা নিরাপদ ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখে, যে ক্যাম্পাসে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী স্বাধীনভাবে নিজের মতপ্রকাশ করতে পারবে, ধর্ম পালন করতে পারবে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা সকলকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রচারিত মিথ্যাসংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’