আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেছেন, বিশ্ব আজ পরিবেশগত সংকটের মুখোমুখি, তাই বৃক্ষরোপণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবেশগত সংকট দ্রুত নিরসনে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব অপরিসীম। শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ একটি অর্থবহ উদ্যোগ, যা আমাদের চারপাশের পরিবেশকে সুন্দর ও টেকসই করে গড়ে তুলবে। এটি শুধু জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই নয়, আমাদের সমাজ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকও বটে।
সম্প্রতি আইআইইউসি ক্যাম্পাসে বিজনেস ক্লাবের উদ্যোগে ‘আশার রোপণ, বীরদের সম্মান: জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী এসব কথা বলেন।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য ও ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আহসানুল্লাহ, ডিবিএ-এর ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান খান, ডিবিএ-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজামুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা মনির চৌধুরী, বিজনেস ক্লাব সভাপতি হাবিব উল্লাহ এবং জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নূরুল্লাহ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ডিবিএ-এর লেকচারার ড. এ এম এম মাসরুর হোসেন।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে দেশের তরুণ প্রজন্ম নিরঙ্কুশ সাহস, একাত্মতা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই আন্দোলনে বহু বীর শহীদ হয়েছেন, যাঁরা স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন, সার্বভৌম ও উন্নত দেশ গড়ার। তারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন আমাদের আগামী প্রজন্মের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য। এই শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য একটি অমুল্য শিক্ষা, যা কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, আজকের প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান, যে মহান আত্মত্যাগ আমাদের চেতনায় অক্ষয়ভাবে বিরাজমান থাকবে, তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হবে এবং সেই চেতনাকে ধারণ করে দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বিকাশ করতে হবে।
শুধু স্মৃতিচারণ নয়, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রত্যেককে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আইআইইউসি বিজনেস ক্লাবের এই মহতী উদ্যোগের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং ভবিষ্যতেও তারা এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর ও বিশেষ অতিথিরা শহীদ আবু সাঈদের নামে একটি আম গাছ এবং মীর মুগ্ধের নামে একটি কাঁঠাল গাছ রোপণ করেন। এখানে বোয়লেম, উরিয়াম, পিতরাজ, চাপালিশ, পুইন্নাল ও কনকসহ ১৫০টিরও বেশি বিরল ও স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।