গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর কর্তৃক ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বিআইইউ)-এর ভিসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ‘বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ (BAIUST), কুমিল্লার সাবেক ভিসি প্রফেসর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কেএম সালজার হোসেন (অব:) বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বিআইইউ)-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর সাইয়েদ কামালুদ্দিন জাফরীর হাতে ভিসি হিসেবে যোগদান পত্র প্রদান করেন।
তিনি এতদিন স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে তিনি এপ্রিল ২০১৮ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত ৫ বছর ৫ মাস, কুমিল্লার ‘বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ (BAIUST),-এর ভিসি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত ২ বছর ৪ মাস মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, ঢাকা, বাংলাদেশ-এর ডীন এবং এপ্রিল ২০১০ থেকে জানুয়ারী ২০১৫ পর্যন্ত ৪ বছর ১০ মাস বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, ঢাকার NID প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ফেব্রুয়ারী ২০০৬ থেকে মার্চ ২০০৮ পর্যন্ত ২ বছর ২ মাস বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রংপুর বিভাগের, বিভাগীয় অপারেশন ও প্রশিক্ষণ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডিসেম্বর ২০০৪ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০০৬ পর্যন্ত ১ বছর ৩ মাস লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘের মিশনে জাতিসংঘের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেপ্টেম্বর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৪ পর্যন্ত ২ বছর ৮মাস মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম-এর কমান্ডিং অফিসার এবং জুলাই ১৯৯৫ থেকে আগস্ট ১৯৯৬ পর্যন্ত ১ বছর ১ মাস, অ্যাঙ্গোলায় জাতিসংঘের স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP) থেকে মাস্টার্স অফ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) থেকে মাস্টার্স অফ সায়েন্স ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন। তার আগে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইটঊঞ) থেকে ব্যাচেলর অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাবেক ছাত্র।
তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘের বাহিনী সদর দপ্তরের সামরিক সদস্য হিসেবে জাতিসংঘ পদকপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)‘র একজন সম্মানীত ফেলো। আমরা তার সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।