গাভীর ওলানপ্রদাহ রোগের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও বিকল্প চিকিৎসা উদ্ভাবনে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনিকোলজি, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ বিভাগ আয়োজিত এ কর্মশালাটি উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের হাই-এডুকেশন কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট প্রকল্প (হেকেপ) এর অর্থায়নে মলিকুলার ডায়াগনস্টিক কিট ও প্রোবায়োটিক থেরাপি উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ নাজমুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ভিসি প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. মোঃ মোজাহার আলী (এটিএফ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট), বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ মোশারফ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ. এম. এ. এম. জুনায়েদ সিদ্দিকী। তাঁরা গাভীর ওলানপ্রদাহ রোগের দ্রুত শনাক্তকরণের জন্য স্বল্পমূল্যের মলিকুলার কিট উন্নয়নের গুরুত্ব এবং অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভরতা কমিয়ে প্রোবায়োটিক চিকিৎসার সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের প্রায় ১,৫০০ প্রকল্পের মধ্যে গাভীর ওলানপ্রদাহ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এই গবেষণার অনুমোদনই প্রমাণ করে এর সময়োপযোগিতা ও বাস্তবতা। সভাপতির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মলিকুলার কিট ও প্রোবায়োটিক থেরাপি প্রাণিসম্পদ খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে—যা দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ ও টেকসই দুগ্ধ উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখবে।

কর্মশালায় প্রায় ৮০ জন শিক্ষক, গবেষক, উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। শেষে এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর ও মতবিনিময় পর্বের মধ্য দিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।