স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুরঃ

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজে অযোগ্য তিন শিক্ষককে অন্যত্র বদলির দাবিতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে কলেজের চার বর্ষের শিক্ষার্থীরা একযোগে এ কর্মসূচি পালন শুরু করে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. মোখলেসুর রহমান শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট, নারী শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে হেনস্তা ও মানহানি, হয়রানি ও হুমকির মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত। কয়েক মাস ধরে এসব অভিযোগে তাদের অন্যত্র বদলির দাবি জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর আগে গত ২ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালালেও কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত তিন শিক্ষক এখনো স্বপদে বহাল থাকায় অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গত ৩১ জুলাই শিক্ষার্থীরা দাবির বিষয়ে ৭ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দেয়। এ সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজনা বাড়ে। এর মধ্যে ১২ আগস্ট কর্তৃপক্ষ যে ক্লাস রুটিন ঘোষণা করে, তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ৫ শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত না করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি মেহেদী হাসান চয়ন জানান, পরিস্থিতি ক্রমেই অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছে, তাই তারা বুধবার দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রতিদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে কলেজের অধ্যক্ষ উম্মে সালমা খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিসংবলিত স্মারকলিপি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, যেমন গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ ও রুটিন সংশোধন। তবে সরকারি বিধি অনুযায়ী শিক্ষকদের বদলির ক্ষমতা তার হাতে নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে।