খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর সকাল পৌণে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন ভারপ্রাপ্ত ভিসি। গত ১ মে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)’র পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। শুক্রবার রাতে তিনি কুয়েটে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী ১৯৮৯ সালে চুয়েটে প্রভাষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ইতোপূর্বে তিনি চুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন, আর্কিটেকচার ও প্লানিং অনুষদের ডিন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (২ টার্ম), বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ), পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), পরিচালক (আইকিউএসি) সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, তিনি বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং দেশি ও বিদেশী বিভিন্ন প্রকল্পে সুনামের সাথে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ৫০ টিরও অধিক গবেষণা প্রবন্ধ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জার্নাল ও কনফারেন্স প্রসিডিংস এ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১৯৮৮ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন বিআইটি, খুলনা) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজী (এআইটি), থাইল্যান্ড থেকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে এ্যাপলাইড ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওপর কৃতিত্বের সাথে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভিসি, প্রোভিসি এবং ডিএসডাবলিউর পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দুই মাস টানা আন্দোলন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমৃত্যু অনশন কর্মসূচির প্রেক্ষিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এরপর থেকে অভিভাবকহীন ছিলো কুয়েট।