ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ অর্জন ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়া এবং বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান সুদৃঢ় করা সম্ভব নয়। গবেষণানির্ভর টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা, মানসম্মত গবেষণা-প্রকাশনা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিনিময় কার্যক্রমই বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভিত্তি।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত “ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং: ক্রাইটেরিয়া, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড বেস্ট প্রাকটিসেস” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডুয়েটের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর আয়োজনে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান এবং সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।

কর্মশালায় ভিসি অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদীন বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা-সমৃদ্ধ, সৃজনশীল এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একযোগে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করতে হবে। এজন্য আধুনিক গবেষণাগার, প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আকর্ষণ, প্রবন্ধ প্রকাশ ও গবেষণা-সাইটেশন বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি। ডুয়েট ইতিমধ্যেই এসব ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রকল্পে মনোযোগী হলে ডুয়েট জাতীয় পর্যায় ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং আইকিউএসি-সহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-ভিসি অধ্যাপক ড. আরেফিন কাওসার বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন শুধু প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে না, বরং প্রতিটি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীর সম্মিলিত প্রয়াসে সম্ভব হয়। বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান শক্তিশালী করতে হলে ডুয়েটের প্রতিটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ইউনিটকে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।

কর্মশালায় ডুয়েটের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পরিচালক, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্স কো-অর্ডিনেটরসহ মনোনীত শিক্ষকরা অংশ নেন। দিনব্যাপী আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর ও মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে।