ইবি সংবাদদাতা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন এবং সনদপত্র উত্তোলনে ভোগান্তি দূর করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আইসিটি সেলের পরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একটি প্রতিনিধিদল।

সম্প্রতি সংগঠনের শাখা সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এই দলটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. ওয়ালিউর রহমান ও আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান আলীর সাথে তাদের কার্যালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হয়। এসময় তারা একাধিক দাবি উপস্থাপন করেন।

দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: অনলাইনের মাধ্যমে সনদপত্র উত্তোলনের ব্যবস্থা চালু করা, অনলাইনভিত্তিক পেমেন্ট ব্যবস্থা কার্যকর করা, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নম্বরপত্র উত্তোলনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র উত্তোলনের জটিলতা দূর করা, আইসিটি সেলের লোকবল সংকট নিরসনে বিষয়ে দক্ষ শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া এবং সনদপত্র উত্তোলনে থাকা বকেয়া তালিকার ভোগান্তি দূর করা।

হাসানুল বান্না বলেন, “ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্যাম্পাস নেই, ভাড়া ভবনে অফিস পরিচালিত হয়। সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৭০০ ফাজিল-কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তাদের সনদপত্র দিতে সময় লাগে ৩ দিন, তাও আবার অনলাইন পেমেন্টেই সম্পন্ন হয়। কলেজের ক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজ অনলাইন পেমেন্ট নেয়, তো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেন পারবে না?”

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন , "আমরা স্মারকলিপি অনেক দিয়েছি, এখন আমরা সমস্যা ও সমাধান ফাইন্ড আউট করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচনা করছি। ভিসি স্যারের কাছে ২৪ দফা সংবলিত ১১০টি প্রস্তাবনার স্মারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু সেটা টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিয়েই কাজ শেষ, সেটা আর টেবিলের উপরে উঠে না। এই কাজ সমাধান করার জন্য আমাদের কোথায় যেতে হবে, কার সাথে আলোচনা করতে হবে আমাদের কে বলুন, আমরা প্রয়োজনে সব করবো, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. ওয়ালিউর রহমান বলেন, “ইতোপূর্বে কোনো ছাত্র সংগঠন এরকম সুনির্দিষ্ট সমস্যা ও সেটা সমাধানের উপায় আমাদের কাছে উপস্থাপন করেনি। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় ছাত্রসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করা হয়, স্মারকলিপি দেয়া হয়, কিন্তু পরবর্তীতে সেটার কোনো কাজ হয় না।” তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের উপকারে যৌক্তিক বিষয়ে কথা বলার জন্য তোমরা এসেছো এজন্য আমার ভালো লেগেছে। ‌আমরা চেষ্টা করবো এই বিষয়গুলো খুব দ্রুত সমাধান করার।”

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালকে প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান আলী বলেন, “আমরা ডিজিটালাইজেশনের চেষ্টা করছি কিন্তু অনেক সময়ের প্রয়োজন এবং অর্থের প্রয়োজন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেট কম। তবে ভিসি স্যার আসলে আমরা আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে মিটিং করে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করবো।”