চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল–হোস্টেল সংসদ নির্বাচন শুধু শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতিফলনই নয়, বরং এটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে চাকসু নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের নির্বাচন-তাদের অংশগ্রহণ ও আগ্রহেই আজ এটি সম্ভব হয়েছে। প্রচারণার সময় পরিবেশ ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, কারও উপর কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। সবাই আচরণবিধি মেনে অংশ নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ভোট প্রক্রিয়া সাজানো হয়েছে। পোলিং এজেন্টরা যেন নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্রস চিহ্নের পরিবর্তে বৃত্ত পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না হয়।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ বছর প্রথমবারের মতো ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্যমতে, পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিএনসিসি, প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক ও কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন।