ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও সহকারি প্রক্টর শেহরিন আমিন ভূঁইয়া মোনামীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং, ছবি বিকৃতি ও মানহানিকর প্রচারণার মাধ্যমে কতিপয় গোষ্ঠী তাদের তাদের হীন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়ানো এসব পোস্টের কারনে নারীরা তাদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট নিয়ে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

পেশাজীবী মহিলা ফোরামের সেক্রেটারি উম্মে নওরিন গতকাল মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন নারীদের নিয়ে যে সকল মানহানিকর ছবি এবং পোস্ট দেয়া হচ্ছে তার সাথে তাদের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। একটি সামাজিক মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে এ ধরনের আচরণ আমাদের শুধু নৈতিকভাবে নয় নিজেদের সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।

একজন শিক্ষকের প্রতি অপমানজনক ও আক্রমনাতœক আচরণ কেবল ব্যক্তিগত মর্যাদা ক্ষুন্ন করেনা, বরং এটা গোটা শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন।

আমরা পেশাজীবী মহিলা ফোরামের পক্ষ থেকে নারীদের প্রতি এই সকল সাইবার বুলিং ও শ্লাড শেমিংয়ের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে এ ধরনের সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা দেশের আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই সকল অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি সেই সাথে সাথে দেশের সকল নারীদের এবং পেশাজীবী মহিলাদের নিজেদের যথাযথ সম্মান প্রতিষ্ঠায় সামাজিক জনমত গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

আদর্শ মহিলা শিক্ষক ফেডারেশন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাসিস্টান্ট প্রফেসর ও সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন ভূঁইয়া মোনামীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালিত সাইবার বুলিং, ছবি বিকৃতি ও মানহানিকর প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আদর্শ মহিলা শিক্ষক ফেডারেশন।

আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মহিলা শাখার সভানেত্রী সাবরীনা শারমিন ও সেক্রেটারি রেহানা সুলতানা দেয়া বিবৃতিতে বলেন, একজন শিক্ষকের প্রতি অপমানজনক ও আক্রমনাতœক আচরণ কেবল ব্যক্তিগত মর্যাদা ক্ষুন্ন করেনা, বরং এটা গোটা শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সাইবার বুলিং মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নারীদের পেশাগত নিরাপত্তার পরিপন্থী। শিক্ষকরা সমাজ গঠনের অন্যতম চালিকাশক্তিÑতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।

ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, আমরা মোনামী ম্যাডামের পাশে আছি। সত্য ও মর্যাদার প্রশ্নে কোনো আপস নয়।

সংগঠনটি দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়। পাশাপাশি সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।