আটষট্টি বছরেও পূর্ণতা পায়নি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার শ্রীপুর মধুসূদন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নের মানচিত্রে শ্রীপুর মধুসূদন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯৫৭ সালে স্থাপিত প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ৬৮ বছরেও পূর্ণতা পায়নি। বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি সংস্কারের অভাবে খসে পড়ছে পলেস্তরা। প্রতিবছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে পিছিয়ে নেই প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট শিক্ষানুরোগী মধুসূদন নামে ব্যক্তি গ্রামের নামের সাথে তার নামটি সংযোজন করে বিদ্যালয়টির নামকরণ করেন। ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় শ্রেণীকক্ষে পাঠদান। এলাকায় ছড়িয়ে গড়তে থাকে শিক্ষা বিস্তারের চিত্র। বাড়তে থাকে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। এলাকায় নিরক্ষরতা দূর করতে বিনা বেতনে বিদ্যালয়ের স্বার্থে একাধিক মেধাবী শিক্ষক/শিক্ষিকা স্বেচ্ছায় পাঠদান দিয়েছেন।
ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠ থেকে ২০০২ সালে জেএসসি পরীক্ষায় সৌরভ রায় নামে শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়ে (এ প্লাস) প্রতিষ্ঠানের মান উজ্জ্বল করেছেন। এভাবে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর জেএসসি পরীক্ষায় সাধারণ গ্রেডে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অক্ষুন্ন রেখেছেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম শেখ বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খসে পড়ছে পুরাতন ভবনের পলেস্তরা। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পুরাতন এ ভবনটি। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনা রোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি বরাদ্দের প্রয়োজন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নতুন ভবন প্রয়োজন।
প্রধান শিক্ষক পরিতোষ বলেন, পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে হয়। এতে একদিকে শিক্ষক/শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে যেতে হয়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে নতুন ভবন প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রতিবছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করে থাকে।