রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ফান্ড থেকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া এর আগে ৩ মেয়াদে তারা টাকা নিয়েছে। যার কোনো হদিস নেই।

গত বুধবার রাকসু ভবনের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এতে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ‘শপথ গ্রহণের পর গতকাল রাকসু প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম অধিবেশনে আমরা আশা করেছিলাম বিগত বছরগুলোর ব্যায়ের অডিটসহ আমরা রাকসু তহবিলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট জানতে পারবো। কিন্তু রাকসুর বর্তমান সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ আমাদের সেই তথ্য দিতে পারেননি। আপনারা জানেন দীর্ঘ ৩৬ বছর রাকসু অকার্যকর থাকলেও নিয়মিতভাবে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে রাকসুর সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ ইচ্ছেমতো রাকসু তহবিলের অর্থ অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করেছেন। এ বিষয়ে রাকসুর এজিএস সালমান সাব্বির বলেন, রাকসু ফান্ডের টাকা ২০১৩ সালের পূর্বের টাকার হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন। ২০১৩ সালের পূর্বে সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ছিল তারা কে কোন খাতে খরচ করেছে, কে কোন জায়গায় খরচ করেছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হবে। তবে টাকা যেহেতু ছাত্রদের ওই টাকা কল্যাণেই ব্যবহার করতে হবে, কেউ যদি ভিন্ন কোনো খাতে ব্যবহার করে ওই সকল সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকে পার্সোনাল জায়গা থেকে হলেও এই টাকা ফেরত দিতে হবে। জিএস সালাহউদ্দীন আম্মার বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট আছে এবং ২০২১ সাল থেকে অনলাইন হিসাব আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ১৯৯০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত প্রায় ২২ বছরের হিসাব নেই। মুজিব শতবর্ষ পালনে প্রশাসন ১২ লাখ টাকা রাকসু ফান্ড থেকে খরচ করেছে। এর আগে ৩ মেয়াদে তারা টাকা নিয়েছে। যার কোনো হদিস নেই। যেহেতু ফান্ডের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে। এ বিষয়ে রাকসু কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান বলেন, ‘আমি যতটুকু জেনেছি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীদের জন্য ফান্ড থেকে টাকা দেয়া হয়। এটা আইন বহির্ভূত ছিল কি না এটা বলা কঠিন। যদি আইনসিদ্ধ হয় সেক্ষেত্রে তো ফেরত দেয়ার দরকার পড়বে না আর যদি আইনসিদ্ধ না হয় সেক্ষেত্রে সে সময় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের কাছ থেকে বা বর্তমান প্রশাসন সেটা টেকওভার করতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ উল্লেখ্য, ১৯৮৯-৮৯ সেশনর রাকসুর ১৪তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত ১৬ অক্টোবর ১৫ তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।