আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তবে কয়েকটি ছাত্রী হলে দেখা গেছে অধিকাংশ পদে ন্যূনতম একজন প্রার্থীও পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিকে পীড়াদায়ক ও আশঙ্কাজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন শিবির মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম।
শনিবার (২৩ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪ জুলাই, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ও রাত এবং ১৭ জুলাই প্রতিটি মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ভূমিকা ছিল সাহসী ও অনন্য। ছাত্রলীগ হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরিকল্পনা করলেও বোনদের দৃঢ়তায় তা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তাদের সেই অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারীদের প্রতিনিধিত্ব না পাওয়ার পেছনে তিন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করেন মাজহারুল। এগুলো হলো—প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক এবং সাইবার প্রতিবন্ধকতা।
তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন পালন বা হিজাব পরার কারণে শিক্ষাঙ্গন ও প্রতিষ্ঠানে নারীরা প্রায়ই হেয় প্রতিপন্ন হন। পোশাক ও চলাফেরা নিয়েও কটূক্তি সহ্য করতে হয় তাদের। সামাজিক বাস্তবতায় পুরুষের ইগো অনেক সময় নারীর মৌলিক অধিকার বঞ্চনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘমেয়াদে এ প্রভাব নারীদের আত্মবিশ্বাস ক্ষয় করে, যার বহিঃপ্রকাশ নির্বাচনে প্রতিনিধি শূন্যতায় প্রতিফলিত হয়।
মাজহারুল আরও উল্লেখ করেন, সাইবার বুলিং ও শেইমিং আজ নারীদের অংশগ্রহণের বড় অন্তরায়। প্রচারে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে কটুক্তি ও অশালীন মন্তব্য ছড়ানো হয়, ফলে তারা ট্রমার মধ্যে পড়েন।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জিএস প্রার্থী বলেন, আমরা এমন এক সমাজ চাই, যেখানে নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ চর্চার পূর্ণাঙ্গ সুযোগ পাবেন। তারা সহপাঠীদের নিকট নিরাপদ বোধ করবেন, ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ অনুভব করবেন না। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে সমমর্যাদার সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।