জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ৩ বছরে অন্তত ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীকে জাপানে পাঠানো সম্ভব। গত ২ মাসে জাপানের শতাধিক কোম্পানি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায় সরকার। জাপানে বর্তমানে ৩১ হাজার ৫৩৬ জন বাংলাদেশি অবস্থান করছেন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী। বছরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা রেমিট্যান্সে অবদান রাখছেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আরকাইভস ভবনে বাংলাদেশ থেকে জাপানে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থান : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। অনলাইনে চাকরি খোঁজার প্রতিষ্ঠান বিডিজবস ও অ্যাসোসিয়েশন অব জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটস ইন বাংলাদেশ (এজেএলআইবি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, জাপান সেলের ফোকাল পারসন মো. হেদায়েতুল ইসলাম ম-ল, এজেএলআইবির সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ, পলিসি অ্যাডভাইজার জিয়া হাসান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, জাপান দূতাবাস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রতিনিধিরা।

বিকেল চারটায় শুরু হওয়া সেমিনারে এজেএলআইবির সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ একটি প্রেজেন্টেশন দেন। প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ লক্ষ্য অর্জনে জাপানি ভাষা শেখার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ৩ বছরে অন্তত ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীকে জাপানে পাঠানো সম্ভব বলে প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়।

জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হন। তিনি বলেন, সবাই মিলে কাজ করছি, যাতে জাপানে বেশি সংখ্যক কর্মী ও শিক্ষার্থী আসতে পারেন। ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে যাতে স্টুডেন্ট যেতে পারেন, সে জন্য স্কুল ভিজিট করছি। গত ২ মাসে ২২টি অর্গানাইজেশন, ১০০-এর বেশি কোম্পানি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। জাপান দক্ষ কর্মী চায়, দ্রুত পাঠানোর চেয়ে দক্ষ লোক পাঠানো জরুরি।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা এখানে বিশেষ ফোকাস দিচ্ছি। জাপানে সেল তৈরি করা হয়েছে। জাপান একটি বিশেষ জায়গা, আমাদের সামনে সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে। সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, আমরা তা করছি।