কালচারাল ফ্যাসিস্টরা ছাত্রশিবিরের ডাকসু প্রচারণার ফেস্টুন বিকৃত করেছে বলে দাবি করেছেন শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, হাসিনার প্রেতাত্মা যেসব কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এখনো চারুকলায় রয়ে গেছে, তারাই আমাদের ফেস্টুনকে বিকৃত করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে শিবিরের ফেস্টুন ফেলে দেওয়া ও নারী প্রার্থীসহ শিবিরের প্রার্থীদের চেহারা বিকৃতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন টানায় ছাত্রশিবির। তবে দুপুরের দিকে চারুকলা অনুষদে টানানো ফেস্টুন ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে, ফেস্টুনে থাকা প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করে দানবের রূপ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ২৪ এর পরাজিত শক্তি যারা এখনো রয়ে গিয়েছে, তারাই এ অপকর্ম করছে। একটি কুচক্রী মহল আসন্ন ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে আমাদের ব্যানার মাটিতে ফেলে দিয়েছে এবং জোটের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবিকে বিকৃত করে তাদের পূর্বের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, এই চারুকলা অনুষদের অভ্যন্তরেই একটি গোষ্ঠী খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ব্যঙ্গাত্মক ভাস্কর্য পুড়িয়ে ফেলেছিল। এদিকে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপানোর ঘৃণ্য অপচেষ্টা করছে কিছু চিহ্নিত মিডিয়া। আমরা মনে করি এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানো একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
শিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, বোরকা পরা একজন নারী শিক্ষার্থীর ছবিকে বিকৃত করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়—এখনো খুনি হাসিনার আমলের ঘৃণা, ইসলামোফোবিয়া ও হিজাবোফোবিয়ার কুৎসিত রাজনীতি টিকে আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননার শামিল।