তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেছেন, জাতি গঠনের যে স্বপ্ন নিয়ে তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার যাত্রা শুরু, সেই মাদরাসার ছাত্রদের সেই স্বপ্ন বাস্তাবায়নে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আল্লাহ ও আল্লাহ’র রাসুলের নির্দেশিত পথে থেকে জীবন পরিচালনা করা এবং সেই মতে দেশ জাতির কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের এইতো শ্রেষ্ঠ সময়। তিনি বলেন, আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে যে কাজের জন্য পাঠিয়েছেন সেই কাজে আমরা কতটা ভূমিকা পালন করতে পেরেছি। জালেমরা এদেশের যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে এবং জুলুম করেছে সেই জুলুমের বিরুদ্ধে আমরা কতটা ভূমিকা পালন করতে পেরেছি সেটা ভেবে দেখতে হবে। যদি ভাল ভূমিকা পালন করে থাকি তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আর যেন সেই জালেমরা পুনরায় ফিরে না আসতে পারে সে জন্য তোমাদের কাজ করে যেতে হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর হোটেল ফারসে আয়োজিত তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার দাখিল ১৯৯৫, আলিম ১৯৯৭, ফাজিল ১৯৯৯ ও কামিল ২০০১ ব্যাচের মিলন মেলায় (মিল্লাত ফ্রেন্ডশীপ মিটআপ-২০২৫) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ঢাকার সাবেক ভিপি ড. মোস্তাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও হোসাইন আল মামুনের পরিচালনায় ‘মিল্লাত ফ্রেন্ডশীপ মিটআফ’ অনুষ্ঠানে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিলের প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থীর সরব উপস্থিতিতে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মাওলানা যাইনুল আবেদীন আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশ ও জাতির স্বার্থে সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে সাবেক আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ও তোমাদের বন্ধু ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন একজন উচ্চমানের শিক্ষিত ও অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। এরকম উচ্চ শিক্ষিত এবং চিন্তাশীল ব্যক্তি নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে গেলে দেশ ও জাতির খেদমতে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। তাই তোমরা বন্ধু ও ব্যাচমেট হিসেবে তার নির্বাচনী সকল ধরনের কাজে সহযোগিতা করে তাকে বিজয়ী করতে চেষ্টা করবে।
বেলা ৪ টা থেকে একে একে সবাই অনুষ্ঠান স্থলে আসতে থাকেন। গত প্রায় ৩০ বছর পর একে অন্যকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ পুরনো বন্ধুকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগে কেঁদে ফেলেন। এ যেন এক আবেগঘন পরিবেশের আবতারণা হয়ে উঠল।
ছাত্রদের পক্ষ থেকে প্রাধন অতিথি মাওলানা যাইনুল আবেদীনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এরপর মিল্লাত ফে-শীপ মিটআপে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদেকে ‘বড় হুজুর’ এর হাত থেকে স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। মাগরিবের সালাতের পর সবাইকে হোটেল ফারসের আকর্ষণীয় নানা পদের মুখরোচক খাদ্যের সমাহারে বুফে ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে স্মৃতিচারণ, জম্পেশ আড্ডা, দফায় দফায় নানা স্বাদের বুফের আকর্ষণীয় মুখরোচক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে মিলন মেলা জমে উঠে কাণায় কাণায়।
তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার সাবেক ছাত্রদের এই মিলন মেলার ‘মিল্লাত ফ্রেন্ডশীপ মিটআপ’ আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে, ব্যারিস্টার সরফুদ্দিন তামজিদ, সাংবাদিক সামছুল আরেফিন, সাংবাদিক ও গীতিকার সায়ীদ আবদুল মালিক, মো. মোজাম্মেল, ড. মো. হারুনুর রশীদ, হামিদুর রহমান সোহাগ, মুর্শেদ আরাবী ও মো. হাবিবুল্লাহসহ অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ।