তিস্তা নদীর কোলঘেঁষে সবুজের ছায়ায় ঘেরা তিস্তা ডিগ্রি কলেজ। ৪৯ জন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মচারীর নিরলস পরিশ্রমে পরিচালিত। এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৯০০-র অধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও মাঠে খেলার উপকরণের অভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থাকলেও নেই কোনো পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞান ভবন বা আধুনিক ল্যাব সুবিধা। ফলে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি চারতলা বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মোকলেছুর রহমান বলেন, “বিজ্ঞানশিক্ষার মান উন্নয়নে একটি আধুনিক ভবন অত্যন্ত জরুরি। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের জন্য যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠুক।” মাঠের সরঞ্জাম ও অবকাঠামোর অভাব তিস্তা ডিগ্রি কলেজের রয়েছে একটি খোলামেলা খেলার মাঠ, কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী ও অবকাঠামোর অভাবে মাঠটি কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা চাই খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ। এতে শুধু পড়ালেখা নয়, আমাদের মানসিক প্রশান্তিও আসবে।”

স্থানীয়দের দাবি : স্থানীয় অভিভাবক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সুধীসমাজও তিস্তা ডিগ্রি কলেজের এই উন্নয়ন দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, একটি উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে এলাকার সার্বিক শিক্ষার মান বাড়বে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন উল্লেখযোগ্য শিক্ষক-কমর্চারী কাঠামো, বিপুল শিক্ষার্থী এবং তিস্তা নদীর তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে তিস্তা ডিগ্রি কলেজে একটি চারতলা বৈজ্ঞানিক ভবন নির্মাণ এবং মাঠের আধুনিকায়ন ও ক্রীড়া সামগ্রী সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, “সরকার যদি দ্রুত উদ্যোগ নেয়, তাহলে তিস্তা ডিগ্রি কলেজ হতে পারে উত্তরাঞ্চলের একটি রোল মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।”

তিস্তা ডিগ্রি কলেজের উন্নয়ন শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন নয়, বরং একটি জনপদের ভবিষ্যৎ আলোকিত করার পথ তৈরি করা।