খুলনা কমার্স কলেজ পরিচালিত মজিদ হলে আবাসিক ছাত্রদের সিট ভাড়া কমানোর দাবিতে অধ্যক্ষের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ শাখা। সোমবার (২১ জুলাই) আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লুৎফর রহমান প্রধানের কাছে এ স্মারকলিপি তুলে দেন কমার্স কলেজ সভাপতি মুহাম্মদ তারেক রহমান ও সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কলেজের মজিদ হলের আবাসিক ছাত্রদের সিট ভাড়া ৫০০ (পাঁচশত) টাকা থেকে ৬০০ (ছয়শত) টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পক্ষে এই অতিরিক্ত বোঝা বহন করা কষ্টসাধ্য। ছাত্রবান্ধব সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’ উক্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির হলের সিট ভাড়ার বিষয়ে নিম্নোক্ত তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবীগুলো হলো, সিট ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে পূর্বের হারে ফিরিয়ে আনতে হবে; ভবিষ্যতে কোনও ফি বা ভাড়া বৃদ্ধির আগে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করতে হবে ও হলের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অবিলম্বে এই ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ছাত্রদের কল্যাণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় কলেজ ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাহিত্য সম্পাদক বেলাল হোসেন, সমাজসেবা সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, মাহিদুল ইসলাম, আলিফ হোসেন, সামিউল, জিহাদ, জুবায়ের প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।

খুলনায় ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত : খুলনায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে জাকির হোসেন (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গত ২১ জুলাই রাত দশটার দিকে মহানগরীর নিরালায় সিটি কলেজের হোস্টেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা লতিফ হাওলাদারের ছেলে। তিনি নিরালার ১৭ নং রোডের ৩০৬ নং বাড়ি রওশন ম্যানশনের বাসিন্দা ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা জাকির হোসেকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জাকিরের মশার কয়েলের ডিলার শীপ ছিলো। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। বিয়ের ১৭ বছর পর তার একটি মেয়ে হয়। তার বয়স ৫ বছর। এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, কি কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

তেরখাদায় পুলিশের ওপর হামলার প্রধান আসামি একদিনের রিমান্ডে : খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামে পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি মো. পলাশ শেখকে একদিনের রিমান্ডে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মো. নাজমুল হোসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের জিআরও প্রভাস চন্দ্র। পলাশ শেখ তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের বাসিন্দা মৃত আতিয়ার রহমান শেখের ছেলে। গত ১৬ জুলাই রাতে রূপসা উপজেলার একটি চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করে তেরখাদা থানা পুলিশ। এ অভিযানে খুলনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশও সহায়তা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।