রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণের কেন্দ্র ও বুথ স্থাপনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে ৯টি একাডেমিক ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে মোট ৯৯০টি বুথের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে রাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও ভোট কেন্দ্র স্থাপন বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। কেন্দ্রগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবন, রবীন্দ্র ভবন, জাবির ইবনে হাইয়ান বিজ্ঞান ভবন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ কলা ভবন, জামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞান ভবন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন, জগদীশ চন্দ্র একাডেমিক ভবন ও জুবেরী ভবন। এসব ভবনে কোন কোন হলের শিক্ষার্থীগণ ভোট প্রদান করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে ভোট গণনা চলবে এবং কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, রাকসু নির্বাচনে নয়টি একাডেমিক ভবনে ১৭টি কেন্দ্র এবং ৯৯০টি বুথ স্থাপন করা হবে। ভোট গণনার পুরো সময়টি সিসি টিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে।

সর্বাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার

আসন্ন রাকসু নির্বাচনের জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা রোববার থেকে পূর্ণদিবসের সর্বাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষক-কর্মকর্তারা রাকসু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি। আগামীকাল রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা যথাযথ নিয়মে চলবে।’

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্তসাপেক্ষে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আসন্ন রাকসু নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের স্বার্থে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবি তুলেছেন এবং তা প্রশাসনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করিয়েছেন। তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন নতুন করে তা চালু করেছে। ঠিক রাকসু নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বের মধ্যে ফেলছে। আমরা মনে করি, রাকসু বাঞ্চালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এ কোটা আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না।’