ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থীর করা ‘পর্দা ও পর্দানশীন নারীদের অবমাননাকর মন্তব্যে’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা জানায়, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পর্দা নারীর সম্মান, স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রতীক। ইসলামবিরোধী এ ধরনের বক্তব্য মুসলিম সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে।”

ছাত্রীসংস্থা জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষার্থী পর্দানশীন নারীদের নিয়ে ‘অশালীন ও ইসলামবিরোধী’ মন্তব্য করেছেন, যা মুসলিম সমাজ ও নারীর মর্যাদাকে অপমানিত করেছে।

সংগঠনটি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা দাবি জানিয়েছে, অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করে নিন্দনীয় মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নারী বিদ্বেষমূলক ও ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থায়ী নীতিমালা প্রণয়ন করারও আহ্বান জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি সাকিবুন্নাহার তামান্না বলেন, “নারীর মর্যাদা, পর্দা ও ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কোনো অপমান আমরা সহ্য করব না। পর্দাশীলতা পশ্চাদপদতা নয়, বরং মর্যাদা ও স্বাধীনতার প্রতীক।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রীসংস্থা এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।