রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা, আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভোটগ্রহণ শেষে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান এই ফলাফল ঘোষণা করেন। তবে আনুষ্ঠানিক ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ফল অনুযায়ী, ভিপি পদে মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট, যা তাকে বিজয়ী করে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।
জিএস পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সালাউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে রাব্বি ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট।
আম্মার পূর্বে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক ছিলেন। অন্যদিকে ফাহিম রেজাও একই সংগঠনের সাবেক দায়িত্বশীল নেতা।
এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত এস এম সালমান সাব্বির, যিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।
রাকসুর এবারের নির্বাচনে মোট ২৩টি পদে ২৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১০টি প্যানেল থেকে। এছাড়া ১৭টি হলে হল সংসদের ১৫টি পদে ৫৯৭ জন প্রার্থী এবং সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী অংশ নেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনের হিসাবে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১ জন -এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। সার্বিকভাবে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আর ছয়টি নারী হলে ভোটদানের হার ছিল ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।