গতবছর ইসকন সদস্যদের কর্তৃক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার শাস্তি , গাজীপুরে শিশু আশামনির ধর্ষকদের শাস্তির দাবী, গাজীপুরের টঙ্গীতে ইমামমে অপহরণের সাথী জড়িতদের শাস্তি দাবীসহ হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন বন্ধ, দেশবিরোধী অব্যাহত ষড়যন্ত্রের দায়ে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কলেজের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ছাত্র হোস্টেল প্রদক্ষিণ করে একাডেমিক ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী, জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না, দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, 'ব্যান ব্যান, ইসকন', 'বখতিয়ারের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার ', 'বদর ওহুদের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার ' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে ৫৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এহতেশামুল হক নাবিল বলেন, গতবছর সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের লোকেরা চট্টগ্রামে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে হত্যা করে। তার সুষ্ঠু বিচার আমরা পাইনি। আশামনির ধর্ষণের বিচার আমরা দেখিনি।
গাজীপুরে ইমাম মুহিব্বুল্লাহকে অপহরণের বিচার আমরা দেখিনি৷ বুয়েটে আবরার ফাহাদকে হত্যাকারী ছিলো ইসকন সদস্য অমিত শাহ। ইস্কন সদস্য বুয়েট ও দেশের অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের একটা গ্যাং রয়েছে যাদের একটা টার্গেটেড কাজ মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা, এ গ্রুপের বুয়েট সদস্য শ্রীশান্তের বিচার কার্যে পুলিশ প্রথমদিকে বাঁধা প্রদান করে।
এতকিছুর পরেই এদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ না করায় আমরা ইন্টেরিম সরকারকে হুশিয়ার করছি, এসব কিছুর রিয়্যাকশনে যদি খারাপ কিছু ঘটে তাহলে এর দায়ভার এদেশের ধর্মপ্রিয় মুসলমানরা নিবে না। ইন্টেরিমকেই নিতে হবে। আমরা চাই এদেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই একসাথে বসবাস করি। সবাইকে নিয়ে এ দেশ গড়ি। কিন্তু এদেশে কোনো উগ্রবাদীর জায়গা হবে না। এদেশের তৌহিদী জনতাকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাই। "
৫৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনাজ বলেন, "ইসকন এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। এদের সব অপকর্মের শাস্তিসহ দ্রুত ইসকন নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। "