মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : ভাঙা বাঁশের পালা ও টিনের চালা, বেড়া দরজা জানালা ভেঙে পরছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ক্লাস রুমে, এই মাদরাসা আর নিরাপদ নয় ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে মাদরাসায় ক্লাস করছে এতে অভিভাবকরা থাকছেন উদ্বেগে। যে কোন মুহূর্তে মাদরাসা ভেঙে পড়তে পারে।

মাদরাসার অফিস সহকারী মোঃ অলিউল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেক অভিভাবক বাধ্য হয়ে সন্তানদের দূরের মাদরাসা ও বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে যেমন ভোগান্তি বাড়ছে, তেমনি ওই মাদরাসা শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এই চিত্র কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কুড়াখাল-কুরুন্ডী দাখিল মাদরাসা। অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, শিক্ষক সংকট ও নিরাপত্তার অভাবে মাদরাসা আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। প্রতিদিন কাঁধে বইয়ের ব্যাগ, চোখে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন নিয়ে স্কুলে আসে একঝাঁক শিশু। কিন্তু তাদের স্বপ্নগুলো ফিকে হয়ে যাচ্ছে জরাজীর্ণ ভবনের কারণে। মাদরাসা ভাঙা টিনের চালা, ভেড়া, ভাঙা বাঁশের উপর হেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে মাদরাসা। শিক্ষার্থীদের মুখে হাসির বদলে ফুটে উঠছে আতঙ্ক।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কুড়াখাল-কুরুণ্ডি দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার যুগ পেরিয়ে গেলেও সরকারি কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় কক্ষের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। ফলে ২ টিনশেড ঘরে মাত্র ৫টি কক্ষে চলছে ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাঁশের বেড়া আর টিনের চালের ২টি ঘরে কয়েক বছর ধরে কোনো রকমে পাঠদান চালালেও এখন সেগুলোও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই দুরবস্থা বিরাজ চরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।