ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রোববার সকালে উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত প্রথম সভার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পাঁচ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ ও সদস্য সাবিকুন নাহার তামান্না। গতকাল রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত ডাকসুর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।

সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আমরা নেতা নই, প্রতিনিধি। শিক্ষার্থীরা যাতে যেকোনো সমস্যা আমাদের সঙ্গে নির্দ্বিধায় ভাগ করতে পারেন, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জয়-পরাজয়ের হিসাব ভুলে আমরা সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সাদিক কায়েম বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো। আমাদেরকে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করবেন, আর আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করব। এ নির্বাচনে কেউ হারেনি, সবাই মিলে কাজ করব। শিগগিরই কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।

জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আমরা সবাই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে এলেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থই এখন হবে আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার। শিগগিরই বিভাগভিত্তিক স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। ফরহাদ আরও জানান, আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হলে আলাদা ফোরাম থাকলেও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সমস্যায় পড়েন। তাই সিনেটে পরিবহন সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, চলতি মাসেই ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি সিনেট সদস্যদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেল শীর্ষ তিনটি পদসহ ২৮টির মধ্যে ২৩টি পদে বিজয় লাভ করে। বাকি পাঁচটির মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র ও একটিতে বামপন্থী প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী জয়ী হন। সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ, আর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ২৩ মার্চ। এবারের নির্বাচনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।