চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : কুমিল্লার চান্দিনায় চলতি এসসিসি ও দাখিল পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করেনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা। উপজেলা সদরের চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ব্যতিত তেমন কোন প্রতিষ্ঠানে ভাল ফলাফল অর্জন করেনি। তবে উপজেলার ৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৭টি মাদরাসা ও ৪টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৭৫টি জিপিএ-৫ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৭৩.৭৪ শতাংশ হারে পাশ করেছে ২ হাজার ৭৪২জন।

পরীক্ষার ফলাফল তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়- উপজেলার ৩৪টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৬৯জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ১৫৩টি জিপিএ-৫সহ ৬১ শতাংশ হারে পাশ করেছে ১ হাজার ৮৭২জন। এর মধ্যে উপজেলা সদরের চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ১১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ৫৩টি জিপিএ-৫সহ ৯৬.৬৪ শতাংশ হারে পাশ করেছে ১১৫ জন। একই বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখা থেকে ১১৫ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৫টি জিপিএ-৫সহ ৯০.৪৩ শতাংশ হারে পাস করেছে ১০৪ জন। ওই বিদ্যালয়ের দুই শাখায় সর্ব মোট ৫৮টি জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলা পর্যায়ে সেরার কৃতিত্ব অর্জন করে।

উপজেলার ২৭টি মাদরাসার ৯৩৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ১০টি জিপিএ-৫ পেয়ে ৬৮.১৯ শতাংশ হারে পাশ করেছে ৬৩৯জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র আবেদানূর ফাজিল মাদরাসার ২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাস করে উপজেলা পর্যায়ে একমাত্র শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করে। এদিকে মাতৃভূমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৫৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯৪.৯২ শতাংশ হারে ১১টি জিপিএ-৫ সহ ৫৬ জন পাস করেছে।

উপজেলার ৪টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৫২জন পরীক্ষা দিয়ে ১২টি জিপিএ-৫সহ ৯২.০৩ শতাংশ হারে পাশ করেছে ২৩১ জন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল হাছান এর কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।

চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, উপজেলায় পাশের হার ৬১ শতাংশ। শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে চেষ্টা করলে এই পাশের হার আরও বেশি হতে পারতো। আশাকরি এ উপজেলায় আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো ফলাফল হবে।