এবারও আলিম পরীক্ষার ফলাফলে খুলনা দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে। নগরীর ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ মাদরাসা থেকে এবছর ৫৩ জন জিপিএ-৫ এ শীর্ষ স্থানে রয়েছে। দেশব্যাপী এবার আলিম পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় দেখা দিলেও খুলনার ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল তুলনামূলক ভালো হয়েছে। অধিকাংশ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, নগরীর ১১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা থেকে এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১১জন। এর মধ্যে পাস করেছে শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩ জন। তালিমুল মিল্লাত (রহ.) ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। মোহাম্মদ নগর মহিলা কামিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় ৩৫ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৫ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। মিরেরডাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা থেকে ২৮ জন পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। দেয়াড়া যুগিহাটী আলিম মাদরাসা থেকে এ বছর ৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৮ জন। পাশের হার ৮৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আটলিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা থেকে ১৪ জন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১২জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের হার ৮৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। খুলনা আলিয়া (কামিল) মাদরাসা থেকে ৮০ জন এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৭ জন। পাশের হার ৯৫ শতাংশ। খান-এ সবুর মহিলা ফাজিল মাদরাসা থেকে ৫০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৪৭ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। পাশের হার ৯৪ শতাংশ। খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ১৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৭ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাশের হার ৯৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। রূপসা দারুস সুন্নাত আলিম মাদরাসা থেকে এবার ২০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৪ জন। পাশের হার ৭০ শতাংশ। ফুলবাড়ি আলম মাদরাসা থেকে এবার ১৯ জন এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৮ জন । পাশের হার ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

খুলনা দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এবছর সারাদেশে মাদরাসায় আলিম পরীক্ষায় ফলাফলে বিপর্যয় হলেও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে খুলনায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ভালো ফলাফলের জন্য তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।